Edit Content
খুলনা বাংলাদেশ
মঙ্গলবার । ২২শে জুলাই, ২০২৫ । ৭ই শ্রাবণ, ১৪৩২

ই-পেপার

Edit Content
বাস্তবায়নে ওয়াহিদ কন্সট্রাকশন

ভৈরব সেতুর কাজ শুরু হচ্ছে ডিসেম্বরে

নিজস্ব প্রতিবেদক

বহুকাঙ্খিত খুলনার দিঘলিয়া উপজেলার মানুষের স্বপ্ন পূরণ হতে যাচ্ছে। আগামী ডিসেম্বর মাসে ভৈরব সেতুর কাজ শুরুর সম্ভাবনা রয়েছে। ইতিমধ্যে যাচাই-বাছাই শেষে সেতুটির কাজ ‘ওয়াহিদ কন্সট্রাকশন’ নামের একটি প্রতিষ্ঠানকে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার ( ১২ নভেম্বর) ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রীসভা কমিটির সভায় উক্ত ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে কাজ দেওয়ার বিষয়ে অনুমোদন মিলেছে। আগামী সপ্তাহে খুলনার অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী প্রতিষ্ঠানটিকে কার্যাদেশ প্রদান করবেন বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র নিশ্চিত করেছে।

সড়ক ও জনপথ বিভাগ (সওজ) সূত্রে জানা গেছে, প্রকল্পটি ২০১৯ সালের ১৭ ডিসেম্বর একনেকে অনুমোদন পায়। মূল সেতুটি হবে নগরীর রেলিগেট থেকে দিঘলিয়ার নগরঘাট ফেরিঘাট পর্যন্ত। এ ছাড়া সেতুর সঙ্গে সড়কের সংযোগ ঘটাতে ফেরিঘাট থেকে নগরীর মহসিন মোড় এবং দিঘলিয়ার নগরঘাট থেকে উপজেলার মোড় পর্যন্ত ফ্লাইওভার বা ভায়াডাক্ট নির্মাণ করা হবে।



সওজের খুলনা জোনের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী গত ২৭ জুলাই ভৈরব নদের ওপর সেতু নির্মাণ কাজের দরপত্র আহ্বান করেন। দরপত্র বিক্রির শেষ সময় ছিল ২৫ আগস্ট, আবেদন করেছিলেন চারটি প্রতিষ্ঠান। ভৈরব সেতুটির দৈর্ঘ্য ধরা হয়েছে ১ দশমিক ৩১৬ কিলোমিটার এবং সেতু নির্মাণ প্রকল্পে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৬১৭ কোটি ৫৩ লাখ টাকা। এর মধ্যে শুধু সেতু নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে ৩০৩ কোটি টাকা। বাকি টাকা ব্যয় হবে জমি অধিগ্রহণসহ অন্যান্য কাজে।

সেতুটি নির্মাণের জন্য প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ও দিঘলিয়ার সুগন্ধি গ্রামের বাসিন্দা ড. মসিউর রহমান নিরলস চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। এ ছাড়া খুলনা-৪ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য আবদুস সালাম মুর্শেদী সেতুটি নির্মাণের প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করে একাধিকবার জাতীয় সংসদে কথা বলেছেন। ইতোপূর্বে এ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য প্রয়াত এসএম মোস্তফা রশিদী সুজা ও মোল্লা জালাল উদ্দিনও সংসদে সেতু নির্মাণের গুরুত্ব তুলে ধরেন।



সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আনিসুজ্জামান মাসুদ শনিবার রাতে খুলনা গেজেটকে জানান, ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রীসভা কমিটির সভায় এটার অনুমোদন গত বৃহস্পতিবার হয়েছে। ওয়াহিদ কন্সট্রাকশন কাজ পাচ্ছে। পদ্মা সেতুর একটি পার্টে কাজ করার অভিজ্ঞতা আছে প্রতিষ্ঠানটির। আগামী সপ্তাহে কার্যাদেশ মিললে ডিসেম্বরে ভৈরব সেতুর কাজ দৃশ্যমান হতে পারে। সেতু নির্মাণে সময় ধরা হয়েছে তিন বছর। জমি অধিগ্রহণের ওপর অনেককিছু নির্ভর করবে।

খুলনা গেজেট/নূর




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন